নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে পাবলিক বাস সংস্কারের আর্জি রাখতে চাই, এটা এখন না হলে কোন রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে কতটা সম্ভব হবে সে বিষয়ে সমূহ সংশয় থেকে যায়। কারণ বাসের মালিকানা সব পার্টি লীডাররাই নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন যুগের পর যুগ।
ঢাকা বাস সংস্কার নিয়ে Nusrat Nahid এর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল।
তিলোত্তমা বলা হতো ঢাকাকে। আমরা যখন আইবিএতে ভর্তি হলাম ১৯৯৯ সালে, তখন আমাদের উত্তরার বন্ধুদের দেখতাম উত্তরা থেকে ছেড়ে আসা পাব্লিক বাসেই ক্লাসে আসাযাওয়া করতো।
সেই পরিপাটি সুন্দর এসি বাসগুলি হুট করে হারিয়ে গেলো। ইন্টারনেটের খরচ চালাবার জন্যে পকেটমানি বাঁচিয়ে ঢাকা ভার্সিটির বাসে প্রায়ই যাতায়াত করতাম। সেই বাসগুলির কী অবস্থা অনেকেই জানি হয়তো।
একবার বিআরটিসির দ্বিতল বাসে করে এয়ারপোর্টের ক্যাফেতে (নাম মনে পড়ছেনা) যাবার সময় বাস থেকে পুরোপুরি নামার আগেই বাস ছেড়ে দেয়। পপাতধরণীতল হয়ে সে-ই শেষ ঢাকার মধ্যে পাব্লিক বাসে চড়া।
২০০৯ এ একবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সামনে সিগ্ন্যালে শত শত গাড়ির মাঝে বসে থাকা অবস্থায় এক মুড়ির টিন বাস ব্রেইক ফেল করে একের পর এক গাড়িকে দুমড়েমুচড়ে দিয়ে গেলো৷ আমার ঠিক সামনেই ছিলো ঢাকা ক্লাবের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের এসইউভি।
প্রেসিডেন্ট মহোদয় এবং আমার প্রবল অভিযোগের মুখে রমনা থানা কর্তৃপক্ষ বাসটিকে আটক করে কিন্তু ড্রাইভার এবং হেল্পার পালিয়ে যায়।
থানা কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের৷ আমরাও বাসের মালিকের খোঁজ করি। আমাদেরই খুব পরিচিত অফিসারের এক আত্মীয়ের বাস।
অফিসার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আশ্বাস দিলেন একটা বিহিত করবেন।
কিন্তু আমাদের সামনে ব্যাঘ্রহুংকার দেয়া অফিসার দু’দিনেই মূষিকে বদলে গেলেন।
উনার বাসমালিক আত্মীয় আওয়ামিলীগের নেতা/এমপি, খুব সম্ভবত যশোর কিংবা ঝিনাইদহের, ঠিকঠাক মনে নেই, যে কিনা ‘কিছুই করবে না’ বলে দিয়েছে।
বেচারা থানা কর্তৃপক্ষ প্রায় বিশ দিন বাসটিকে আটক রাখলেন, এরপর দু:খ অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বললেন, ম্যাডাম এটাই আমাদের পক্ষে সর্বোচ্চ করা সম্ভব।
অন্যান্য ক্ষেত্রে এটাও করতে পারি না। নিজেরাই গচ্চা দিয়ে গাড়ির মেরামত করে ফেলেছি ততদিনে।
এরপর মেয়ের স্কুলের সিনিয়র সেকশন হলো উত্তরায়। ক্যান্টনমেন্ট-উত্তরা যাতায়াত করতাম প্রতিদিন প্রাণ হাতে নিয়ে।
বাসগুলোর সীমাহীন দৌরাত্ম্য, অসহনীয় প্রতিযোগিতা, আনফিট কন্ডিশন, ধাক্কাধাক্কি, লেইন মেনে না চলা, ব্রেইক ফেল করা আর কিম্ভূতকিমাকার চেহারা সবকিছু সহ্য করতাম আর ভাবতাম কবে মেয়ে বড় হবে আর এ পথ থেকে মুক্তি পাবো!
শেষমেশ রমিজউদ্দিনের সামনে বাচ্চাদের মেরে ফেললো ..শুনেছিলাম সাতজন মারা গিয়েছিলো, ধামাচাপা দিয়ে সেটা তিনজনে নামিয়ে এনেছিলো তৎকালীন মহান সরকার।
সেই হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা নিয়ে সত্যমিথ্যা যা-ই হোক, এটা বোধ হয় সবাই মানবেন যে ঢাকার পাবলিক বাস পরিবহন ব্যবস্থার সংস্কার একটি অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ, যা যানজট কমানো, নিরাপত্তা বাড়ানো এবং গণপরিবহন ব্যবহারের সুবিধা বাড়াতে সহায়ক হবে।
আমরা জানি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাজারো জরুরি কাজ রয়েছে, ব্যাংকিং খাতকে বাঁচানো, অর্থনীতিকে সচল করা, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসনে সংস্কার, পুলিশ সংস্কার, শিক্ষা সংস্কার, স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার- এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে সংস্কার প্রয়োজন নেই।
তবু এরই মাঝে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে পাবলিক বাস সংস্কারের আর্জি রাখতে চাই, এটা এখন না হলে কোন রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে কতটা সম্ভব হবে সে বিষয়ে সমূহ সংশয় থেকে যায়। কারণ বাসের মালিকানা সব পার্টি লীডাররাই নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন যুগের পর যুগ।
এ বিষয়ে এখানে মোটা দাগে একটা পরিকল্পনা দিচ্ছি যা এই ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে-
পরিপূর্ণ মূল্যায়ন এবং পরিকল্পনা
• বর্তমান বাস পরিবহন ব্যবস্থা, যাত্রীদের চাহিদা, রুট এবং সমস্যাগুলি বুঝতে একটি বিশদ পরিবহন গবেষণা পরিচালনা করতে হবে। ইতিমধ্যে অনেক গবেষণা করেছেন অনেকেই। সেগুলি পর্যালোচনা করলে সহজেই এই উপাত্ত পাওয়া সম্ভব।
• অন্যান্য গণপরিবহন যেমন মেট্রো, নৌযান, কম্যুটার ট্রেইন এবং পায়ে চলা পরিবহন ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় করে একটি দীর্ঘমেয়াদী নগর পরিবহন মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এডিবি প্রত্যেকেই কাজ করছে, তাদের সবাইকে সম্পৃক্ত করে এই কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব।
রুট সংস্কার
• বাস রুটগুলির সংস্কার করতে হবে যাতে অপ্রয়োজনীয় ওভারল্যাপ এড়ানো যায়, অদক্ষতা কমে এবং কম সেবাযুক্ত এলাকা অন্তর্ভুক্ত হয়।
• একটি ফিডার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা উচিত যেখানে ছোট বাসগুলো পাড়া থেকে প্রধান পরিবহন কেন্দ্রগুলিতে সংযোগ স্থাপন করবে।
• বড় রাস্তা গুলোতে বাসের জন্য আলাদা লেন (বিআরটি) তৈরি করা যেতে পারে, যাতে যানজট কমে এবং যাত্রীদের দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এটার জন্যে আলাদা করে রাস্তা তৈরি করতে হবে না, বরং আমাদের ছাত্ররাই ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে যে অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা অনুসরণ করা যাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
বাস অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণ এবং একত্রীকরণ
• অসংখ্য বেসরকারি বাস অপারেটরদের একীভূত করে কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে অথবা একটি একীভূত পরিবহন কর্তৃপক্ষের অধীনে রাখতে হবে, যাতে সেবার অকার্যকরতা ও বিশৃঙ্খলা কমে।
• ফ্র্যাঞ্চাইজি বা রুট পারমিট প্রবর্তন করতে হবে, যাতে শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষিত অপারেটররা নির্ধারিত রুটে চলাচল করতে পারে।
• একটি স্ট্যান্ডার্ডাইজড ভাড়া ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে বেসরকারি অপারেটরদের মাধ্যমে স্বেচ্ছাচারী মূল্য নির্ধারণ বন্ধ হয়।
বাস বহর উন্নতি
• পুরাতন বাসগুলো আধুনিক, নিরাপদ এবং পরিবেশ-বান্ধব বাসের (যেমন বৈদ্যুতিক বা সিএনজি চালিত বাস) মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে হবে।
• লো-ফ্লোর বাস চালু করতে হবে, যাতে বৃদ্ধ, মহিলা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সহজে বাসে উঠতে পারে।
• বাসগুলির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ সেবা বজায় থাকে।
টিকেটিং ব্যবস্থা উন্নত করা
• স্মার্ট কার্ড ব্যবস্থা বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে নগদ লেনদেন কমে এবং দ্রুত বোর্ডিং করা যায়। পৃথিবীর সব উন্নত দেশে একই স্মার্ট কার্ড দিয়ে বাস, মেট্রো, রেল, ওয়াটার ট্যাক্সিতে পরিবহন করা যায়।
• দূরত্ব ভিত্তিক ভাড়া ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে ভাড়ার বিচার ভিত্তি আরও ন্যায়সঙ্গত হয়।
• বিভিন্ন পরিবহনের মধ্যে (বাস, মেট্রো, নৌপরিবহন) সমন্বিত টিকেটিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে, যাতে যাত্রীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতের সুবিধা থাকে।
বাস স্টপেজ এবং যাত্রী সুবিধা
• ভালভাবে পরিকল্পিত, নির্ধারিত বাস স্টপ তৈরি করতে হবে যেখানে সাইনেজ, বসার জায়গা এবং আশ্রয় থাকবে, যাতে যাত্রীরা নিরাপদ এবং আরামদায়কভাবে অপেক্ষা করতে পারে।
• প্রধান বাস স্টপ এবং টার্মিনালে বাসের সময়সূচী, বিলম্ব এবং রুট সম্পর্কে তথ্য প্রদর্শনকারী বোর্ড স্থাপন করতে হবে।
• একটি বাস ট্র্যাকিং অ্যাপ চালু করতে হবে, যেখানে যাত্রীরা বাসের অবস্থান এবং আনুমানিক আগমনের সময় দেখতে পারবেন।
নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা
• পাবলিক পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ ইউনিট গঠন করতে হবে, যারা সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করবে।
• বাসে কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ড প্রয়োগ করতে হবে, যেমন সিটবেল্ট, স্পিড গভার্নর এবং বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা পরীক্ষা।
• ড্রাইভার ও কনডাক্টরদের নিরাপদ ড্রাইভিং এবং গ্রাহক সেবা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং নিরাপত্তা ও সেবার শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব নিতে হবে।
• বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের জন্য অ্যান্টি-হ্যারাসমেন্ট ব্যবস্থা যেমন সিসিটিভি ক্যামেরা, মহিলা সংরক্ষিত সেকশন বা বাস চালু করতে হবে।
বাসের জন্য আলাদা অবকাঠামো
• যেখানে সম্ভব, বাসের জন্য আলাদা লেন তৈরি করতে হবে, যাতে বাসগুলো দ্রুত চলতে পারে এবং মানুষ ব্যক্তিগত যানবাহন থেকে বাসের দিকে ঝুঁকে।
• প্রধান বাস স্টপ এবং টার্মিনালে বাস টার্মিনাল ও ডিপো তৈরি করতে হবে, যাতে বাসগুলো সহজে পরিচালনা করা যায় এবং চলাচলের গতি বজায় থাকে।
• বাসগুলোকে মেট্রো স্টেশন ও অন্যান্য পরিবহন কেন্দ্রের সাথে সঠিকভাবে সংযুক্ত করতে হবে, যাতে যাত্রীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা আরও সহজ হয়।
শাসন ও নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা
• একটি একীভূত পরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যারা বাস পরিবহনের সব বিষয় তত্ত্বাবধান করবে এবং নিয়ন্ত্রণ করবে, যেমন মান নির্ধারণ, পারমিট প্রদান এবং নিয়ম প্রয়োগ।
• একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে বাস পরিচালনার উপর নজরদারি করা যায় এবং সময়সূচী, রুট এবং নিরাপত্তা মান বজায় থাকে।
• নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য, যেমন বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং ভাড়া প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে।
জনসচেতনতা এবং সম্পৃক্ততা
• গণপরিবহন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা চালাতে হবে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা, ভাড়া নীতি ও বাসের সময়সূচী সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
• যাত্রীদের থেকে সেবা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য অ্যাপ, হেল্পলাইন বা জরিপ ব্যবহার করে ফিডব্যাক ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
• গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করতে হবে, যেমন ভাড়ার ছাড় বা লয়ালটি প্রোগ্রাম চালু করা যেতে পারে।
পরিবেশ-বান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণ
• পরিবেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ বাস চালু করার মাধ্যমে একটি সবুজ পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেমন বৈদ্যুতিক বা হাইব্রিড বাস।
• পরিবহন ব্যবস্থার কার্বন নিঃসরণ কমাতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানী বিকল্পের দিকে ঝুঁকতে হবে এবং পুরাতন, উচ্চ নির্গমনকারী যানবাহনগুলোকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন করতে হবে।
মূল্যায়ন এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ
• একটি মূল্যায়ন এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যার মাধ্যমে সময়মতো বাস সেবা, যাত্রীদের সন্তুষ্টি এবং যাত্রী সংখ্যা নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
• প্রতিক্রিয়া এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বিবেচনা করে নীতিগুলোকে সময়মতো পরিবর্তন এবং মানিয়ে নিতে হবে।
ভেহিক্যাল স্ক্র্যাপেজ পলিসি এবং ব্যবস্থাপনা
• পুরনো বাসগুলির স্ক্র্যাপেজ এবং স্যালভেজ ভ্যালু নির্ধারণের পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে।
• ব্যাংক এবং অন্যান্য অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করতে হবে স্ক্র্যাপেজ পদ্ধতি ব্যবস্থাপনায়, স্ক্র্যাপেজের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ এবং তা একীভূত কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত বাস কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্যে। বিভিন্ন দেশে এ সংক্রান্ত নানা উদাহরণ আছে, আমাদের দেশেও প্রথিতযশা পরিবহন বিশেষজ্ঞ আছেন, যারা একদিনেই এর একটি রূপরেখা দাঁড় করাতে পারবেন।
এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করলে ঢাকায় একটি আধুনিক, কার্যকর এবং নিরাপদ বাস পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যা আশা করি যানজট কমাবে, বায়ু দূষণ কমাবে এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নত করবে। আমাদের এক প্র্যাক্টিস ম্যানেজার সব সময় বলেন উন্নত দেশ সেটাই যে দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত। আমরা বাংলাদেশকে সেখানেই নিয়ে যেতে চাই।