রাঙামাটিতে পাহাড়ি বাঙালি দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। শহরে চালু হয়েছে গণপরিবহন, ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার যানবাহন। খুলেছে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। নগর জীবনে ফিরেছে স্বস্তি।
স্থানীয় বাসিন্দা আলামগী কবির জানান, রাঙামাটিবাসী সব সময় শান্তিপ্রিয়, এখানে পাহাড়ি বাঙালি সবাই শান্তিতে থাকতে চায়। সকাল থেকে আমরা স্বাভাবিক ভাবে চলাচল,বাজার ও অফিস আদালাতে যাথায়াত করছি। আপাতত কারো কোন সমস্যা হচ্ছে না।
শহরের বনরুপার আরেক বাসিন্দা রুপা চাকমা বলেন, আজকে বনরুপা বাজার খুলেছে, সবকিছু স্বাভাবিক আছে । অনেকেই বাজারে এসেছে এবং নিশ্চিন্তে বাজার সদায় করছে । কোথাও কোন সমস্যা নাই এখন। আমরা কোন সহিংসতা ও সংঘাত চাই না। শান্তিতে থাকতে চাই। এভাবে চললে আস্তে আস্তে জনমনে স্বস্তি ফিরবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, আমরা আহতদের সহযোগিতা করবো। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এদিকে রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে নির্দিষ্ট স্থান থেকে সড়ক ও নৌপথে সকল দূর পাল্লার যান ছেড়ে গেছে। এদিকে ধর্মঘট ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও জনমনে এখনো আতঙ্ক না কাটায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।এর আগে রোববার দিনগত রাতে জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খানের সাথে পরিবহণ মালিক সমিতির আলোচনার ভিত্তিতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় ঘর বাড়িতে আগুন, বাস, সিএনজি, ট্রাক ভাঙচুর এবং শ্রমিক আহতের ঘটনার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু সমাধান ও ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহণ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।