পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রাকৃতিক বনে সামাজিক বনায়ন করা যাবে না।
সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে উপকারভোগীদের মাঝে অর্থ বিতরণ করা হয়। বনবিভাগের দায়িত্ব টাকা বিতরণ করা না, তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে প্রাকৃতিক বনকে রক্ষা করা।
তিনি জানান, বনায়নে ইউক্যালিপটাস ও একাশিয়া নয়, দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো জরুরি।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষকের অধিকার বন বিভাগে নিশ্চিত করতে হবে। বন বিভাগ ও কৃষকের মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করতে হবে। বন, বনবাসী ও বন্যপ্রাণী একসঙ্গে শান্তিতে সহাবস্থান করবে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) টাঙ্গাইলে ‘সবুজ পৃথিবী’ কর্তৃক আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন-২০২৪’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে কৃষি খাতকে রক্ষা করতে হবে। ভোগবাদী অর্থনীতির মডেল অনুসরণ করা যাবে না।
দিনদুপুরে বাতি জ্বালিয়ে জ্বালানির অপচয় বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রের ওপর চাপ কমাতে হবে।
পলিথিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকি। দূষণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাব থেকে রক্ষায় জনগণের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় শুধু সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়; ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
তিনি তরুণ প্রজন্মকে এ উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশীদ, এবং রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন,সবুজ পৃথিবীর সাধারণ সম্পাদক শহীদ মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন ব্যুরো বাংলাদেশের ডিরেক্টর অপারেশন্স-ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এইচআরডি অ্যান্ড আইসিটি ফারমিনা হোসেন।
আন্তর্জাতিক এ পরিবেশ সম্মেলনে ইন্ডিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিবেশ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিবেশ কর্মীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।