বাংলাদেশে ছাত্রজনতার গণ আন্দোলন চলাকালীন হাসিনা সরকারের গণহত্যার বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তারা বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংষের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তারা এ বৈঠক করেন। প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বৈঠকে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলা এবং বাংলাদেশে গত জুলাই—আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানে চলাকালীন যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা দায়ের করার উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রসিকিউটর করিম খান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত তিন দফার প্রশংসা করেছেন।
এর আগে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক শফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাতে ড. ইউনূস কৃষি রূপান্তর, পানি ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি মোকাবেলা ও সংস্কার বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা কামনা করেছেন।
তারও আগে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের সংস্কারে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব এ সমর্থন ব্যক্ত করেন। এ সময় অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, সদ্য গৃহীত জাতিসংঘের প্যাক্ট অফ দ্য ফিউচার বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং এর প্রণোদনামূলক অর্থায়ন দেশটির জন্য বিশেষ সহায়ক হবে।