কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জনের মূল হত্যাকারী নাছির উদ্দিন প্রকাশ ডাকাত নাছির ও তার সহযোগী ডাকাত এনামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ—সময় তাদের কাছ থেকে দেশে তৈরি দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার নাছির উদ্দিন প্রকাশ ডাকাত নাছির (৩৮) উপজেলার ডুলাহাজার ইউনিয়নের ডুমখলাী রিজার্ভপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেকের ছেলে এবং এনামুল হক (৫০) একই ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
শনিবার (২৮ সেপ্টম্বর) সকালে র্যাব—১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবুল কালাম চৌধুরী বিডি ফ্রি প্রেসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব—১৫ এর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যাকাণ্ডের পর ছায়াতদন্তের পাশাপাশি ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান কার্যক্রম শুরু করে র্যাব—১৫।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব জানতে পারে চকরিয়ার মধ্যম কাহারিয়া ঘোনা এলাকায় খুনিরা অবস্থান করছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে র্যাব—১৫ এর একটি চৌকস দলের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী সেখানে অভিযান পরিচালনা করে সেনা সদস্য তানজিম হত্যাকাণ্ডের মূল হত্যাকারী ডাকাত নাছির উদ্দিন ও তার সহযোগী ডাকাত এনামকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর সেনা সদস্য হত্যার সঙ্গে তারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। পরে তাদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. মনজুর কাদের ভুঁইয়া জানান, সেনা সদস্য হত্যাকাণ্ডের মামলায় অস্ত্রসহ দুই আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব—১৫।
আসামিরা অসুস্থ থাকায় তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আদালতে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) শহিদ হয়েছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মো. নাছির (৩৪) নামক একজনকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৭ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গ্রেপ্তার ডাকাতদের কাছ থেকে ৫টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, বিভিন্ন ধরনের ১৪ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডাকাত দলের অন্যান্য জড়িত সদস্যদের গ্রেপ্তারে জন্য সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে চকরিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।