গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ ছাত্রজনতার তীব্র গণআন্দোলনের এক পর্যায়ে ছাত্ররা গণভবনের দিকে এগিয়ে আসার আগ মুহুর্তে জানা বাঁচাতে পদত্যাগ করে সামরিক হেলিকপ্টারে নিরাপদে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতের দিল্লিতে সরকারি নিরাপত্তায় অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার মায়ের দেশে ফেরা নিয়ে কথা বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরতে পারেন জানতে চাওয়া হলে তিনি উত্তরে বলেন, এটি তার ওপর (শেখ হাসিনার) উপর নির্ভর করবে।
এসময় তিনি জানান তার মা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত।
জয় বলেন, এই মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকদের নিরাপদ রাখতে চাই, তাই আমি দলের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো নৃশংসতা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়াতে চাই।
এর আগে গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ছাত্রদের দাবি করা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বাড়িতে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত।
এছাড়া আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় বলেও জানান তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাস থেকে দিল্লির কাছাকাছি আশ্রয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতাকে আন্দোলনে এক হাজারের বেশি নিহতের ঘটনায় সম্পৃক্ততায় অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছেনে।
জয় অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেননি।
রেছেন তাতে তিনি খুশি, যদিও তারা আরও আগে নির্বাচন প্রত্যাশা করেছিলেন।
একই সঙ্গে জয় সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে আওয়ামী লীগকে ছাড়া প্রকৃত সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব।
বুধবার প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা জয় মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এখন অন্তত একটা প্রত্যাশিত সময়সীমা আছে, এটা জেনে আমি খুশি৷
কিন্তু আমরা এমন নাটক আগেও দেখেছি যেখানে একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তারপরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।’